বাংলাদেশ অনলাইন : | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
আগ্নেয়গিরির দ্বীপ গ্রীসের সান্তোরিনি। ছবি: সিএনএন
গ্রীসের সান্তোরিনি। ভূমধ্যসাগরের এজিয়ান অংশের বিশ্বখ্যাত এক দ্বীপ। আগ্নেয়গিরির দ্বীপ হিসেবে এটি পরিচিত। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশিল্প দ্বীপটিকে করেছে আকর্ষণীয়। সান্তোরিনির মূল সৌন্দর্য ছোট গ্রাম ওইয়া। আঁকাবাঁকা সরু রাস্তা এবং দৃষ্টিনন্দন বাড়িঘরের স্থাপত্যশিল্প নজর কাড়ে পর্যটকদের। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটন মৌসুম থাকলেও সারা বছরই সান্তোরিনি মুখর থাকে ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায়। কোলাহল এড়াতে অনেকেই ভ্রমণের জন্য বেছে নেন এই দ্বীপকে।
সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছে, সান্তোরিনির প্রতিটি বাড়িই যেন বয়ে বেড়াচ্ছে অনিন্দ্য সৌন্দর্য। নীল আর সাদার সংমিশ্রণে তৈরি স্থাপনাগুলো দেয় অপার সৌন্দর্যের হাতছানি। ‘আগ্নেয়গিরির দ্বীপ’ হিসেবে পরিচিত সান্তোরিনিতে এখনো দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যেগুলো অধিকাংশ সময় সুপ্ত অবস্থায় থাকলেও মাঝেমধ্যে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়। বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সান্তোরিনিতে চিত্রায়িত হয়েছে হলিউড, বলিউডসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা বা গানের দৃশ্য।
আপনি যেখানেই সান্তোরিনির দিকে তাকাবেন, আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়া হবে যে আপনি একটি আগ্নেয়গিরিতে আছেন। চন্দ্রের প্রাকৃতিক দৃশ্য, কালো এবং লাল সৈকত, কঠিন লাভা দিয়ে তৈরি নুড়ি পাথর গ্রীক দ্বীপের সৌন্দর্য এই এলাকার আগ্নেয়গিরির ইতিহাসের ফলাফল।
সান্তোরিনি তার অর্ধচন্দ্রাকার আকৃতির ক্যালডেরার (আগ্নেয়গিরি থেকে সৃষ্ট গর্ত) জন্য বিখ্যাত, যার অর্ধেক নিমজ্জিত। এটি বিশ্বের একমাত্র ডুবে যাওয়া ক্যালডেরা হিসাবে পরিণত হয়েছে।
এটি প্রায় ৩ হাজার ৬শ’ বছর আগে সবচেয়ে বড় অগ্ন্যুৎপাতের দ্বারা তৈরি হয়েছিল। বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি সান্তোরিনির প্রাচীন শহর আকরোতিরিকে ধ্বংস করে এবং মিনোয়ান সভ্যতাকে ধ্বংস করে দেয়।
সন্ধ্যায় দ্বীপটি বিশ্ব-বিখ্যাত সূর্যাস্তের জন্য থমকে দাঁড়ায়। নীল এবং সাদা গম্বুজবিশিষ্ট গ্রামটি সোনালী বর্ণে অন্যরকম এক রূপ ধারণ করে। সূর্য যখন ক্যালডেরার ক্লিফের পিছনে অস্ত যেতে শুরু করে, আকাশ লাল, কমলা এবং গোলাপী রঙের একটি প্রাণবন্ত প্রদর্শনে রূপান্তরিত হয়। খুব কম লোকই বুঝতে পারে যে রঙিন এই শহরের নীচে একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
Posted ১:০২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh